শনিবার, ১২ মে, ২০১২

জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মহাজোট সরকারের দুই বছরের সাফল্য (২০১০-২০১১)

জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মহাজোট সরকারের দুই বছরের সাফল্য (২০১০-২০১১)

জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মহাজোট সরকারের দুই বছরের সাফল্য (২০১০-২০১১)

http://abdullahharun.net/?p=345

বিশ্বের অর্থনৈতিক ও পারিপার্শ্বিক বিষয়াবলী বিবেচনায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা দেশরত্ন প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মহাজোট সরকারের সাফল্য অন্য যে কোন সরকারের তুলনায় প্রশংসনীয় এবং অগ্রগামী। রূপকল্প ২০২১ বাস্তবায়নের লক্ষে আওয়ামী লীগ সরকার তাদের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিগুলো বাস্তবায়নের দিকে সাফল্যের সাথে অগ্রসর হচ্ছে। বর্তমান সরকারের আমলে মায়ানমারের সাথে অমীমাংসিত সমুদ্র বিজয়, বিদ্যুৎ উৎপাদনে বিশেষ গুরুত্ব প্রদান, পদ্মা সেতু বাস্তবায়নের লক্ষে কার্যকর পদক্ষেপ, শিক্ষাক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন, দুর্নীতি ও লালফিতার দৌরাত্ম্যকমাতে টেন্ডারসহ সরকারী বিভাগসমূহের ডিজিটালাইজেশন, ২৪ ঘণ্টা প্রসূতি সেবা কেন্দ্র স্থাপন, জেলা শহরে বার্ন ইউনিট গঠন, রেলমন্ত্রনালয় পৃথকীকরণ, আইটি পার্ক, দেশকে পাঁচটি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ, নোয়াখালীর সুবর্ণচরে বিশেষ অর্থনৈতিক জোন স্থাপন, বাংলাদেশ রেজিস্ট্রেশন সার্ভিস, কক্সবাজার বিমানবন্দরের জন্য ৬শ ৮২ একর ভূমি বরাদ্দ ইত্যাদি পদক্ষেপ বাংলাদেশকে মাঝারি আয়ের দেশে পরিণত করতে বিশেষ ভূমিকা রাখছে। ২০১০-১১ এ দুই বছরে জননেত্রী শেখ হাসিনার বাস্তব ও গণমুখী নেতৃত্বে সরকার দেশের আর্থ-সামাজিক ও রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে যে সব সাফল্য অর্জন করেছে তা এখানে সংক্ষেপে বর্ণনা করা হলো।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়
এটুআই (এ২আই) প্রকল্পের আওতায় ইউনিয়ন পর্যায়ে ই-সেবা পৌঁছে দেয়া হয়েছে। ইউনিয়ন তথ্য ও সেবা কেন্দ্র স্থাপনের মাধ্যমে ইতোমধ্যে ৮৫ হাজার লোককে সরাসরি সেবা দেওয়া হয়েছে। দেশের সকল নাগরিককে ই-সেবা দেয়ার লক্ষ্যে স্থানীয় ও মাঠ পর্যায়ের প্রতিনিধি ও কর্মকর্তাদেরকে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিষয়ক প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। ডিজিটাল প্রযুক্তির প্রয়োগের ফলে কৃষিখাত, ব্যবসা-বাণিজ্য, রেলওয়ে টিকেট বিক্রয়, পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা, বিভিন্ন ধরনের বিল প্রদান ইত্যাদি ক্ষেত্রে নতুন গতি সঞ্চার হয়েছে। বেপজার অধীনস্থ বিভিন্ন জোনের মধ্যে ভিডিও কনফারেন্স ব্যবস্থা চালু হওয়ায় ব্যবসা সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ সহজ হয়েছে। ঢাকা ও চট্টগ্রাম ইপিজেডে আমদানি-রপ্তানি অনুমোদনের ক্ষেত্রে অটোমেশন পদ্ধতি চালু হয়েছে। ইপিজেড এলাকায় ৯০ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন নতুন বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপিত হয়েছে এবং আরো ২৯০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। ইপিজেডস্থ শিল্প-প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে প্রায় ২ লক্ষ ৭০ হাজার বাংলাদেশীর কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে যা দারিদ্র্য বিমোচনের ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখছে। আশ্রায়ণ প্রকল্প (ফেইজ-২) এর মাধ্যমে বাংলাদেশের ভূমিহীন, গৃহহীন ও ছিন্নমূল পরিবারের জন্যে গৃহীত কার্যক্রমের আওতায় প্রায় ১০ হাজার পরিবারকে ইতোমধ্যে পুনর্বাসিত করা হয়েছে এবং আশ্রায়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় আরো ৫০ হাজার পরিবারকে পুনর্বাসনে জন্য উপকূলীয় অঞ্চল, পার্বত্য চট্টগ্রাম ও অন্যান্য এলাকায় ব্যারাক ও গৃহনির্মাণের কাজ জুলাই-২০১০ থেকে শুরু হয়েছে যা জুন ২০১৪ সালে সম্পন্ন হবে। সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব (পিপিপি) উদ্যোগ বাস্তবায়নের জন্য প্রণীত পলিসি এন্ড স্ট্র্যাটেজি ফর পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ, ২০১০-এর আওতায় তিনটি গাইড লাইন চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।

মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ
তথ্য ও প্রযুক্তির মাধ্যমে নাগরিকদের দ্রুত সেবা প্রদান নিশ্চিত করতে মন্ত্রীপরিষদ বিভাগের তত্ত্বাবধানে ৫০টি মন্ত্রণালয়/বিভাগ ও ৭টি অধিদফতর ইউনিকোড বিষয়ক প্রশিক্ষণ সম্পন্ন হয়েছে। মন্ত্রণালয়/বিভাগ সমূহের মধ্যে ইলেকট্রনিক যোগাযোগ স্থাপন কার্যক্রমের আওতায় ২৩টি মন্ত্রণালয়/ বিভাগকে সচিবালয় নেটওয়ার্ক ব্যাকবোনের সাথে সংযুক্ত করা হয়েছে। মাঠ প্রশাসনসহ সকল পর্যায়ে ই-মেইলের মাধ্যমে তথ্য আদান প্রদান, ডিজিটাল নথি ব্যবস্থাপনা চালু হয়েছে। রংপুরকে প্রশাসনিক বিভাগ করা হয়েছে।

সংস্থাপন মন্ত্রণালয়
জনপ্রশাসনে অধিকতর জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জন্য প্রচলিত বার্ষিক গোপনীয় প্রতিবেদন পদ্ধতির পরিবর্তে কর্মসম্পাদন ভিত্তিতে মূল্যায়ন পদ্ধতি ব্যবস্থা প্রবর্তনের কার্যক্রম চলছে । মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ ও নথি নিষ্পত্তি দ্রুততর করার লক্ষ্যে ডিজিটাল নথি প্রণয়ন, নথি ট্র্যাকিং ও নোটিং বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। কর্মকর্তাদেরকে তথ্য প্রযুক্তিনির্ভর করার জন্যে ৬৬৫টি ল্যাপটপ ও ইন্টারনেট সংযোগ প্রদান করা হয়েছে।

অর্থ মন্ত্রণালয়
তিনসালা মধ্যমেয়াদী বাজেট কাঠামোকে পাঁচশালা কাঠামোতে প্রণয়ন করা হয়েছে। বেসরকারি বিনিয়োগ নিশ্চিত করার জন্য পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) বাজেট প্রণয়ন ও বাংলাদেশ অর্থায়ন তহবিল গঠন করা হয়েছে এবং এ তহবিলকে কোম্পানিতে রূপান্তরের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। সহজ উপায়ে কৃষিঋণ এবং সরকারি ভর্তুকির অর্থ পেতে ন্যূনতম ১০(দশ)টাকা সঞ্চয়ের মাধ্যমে ব্যাংক হিসাব খোলার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। করদাতাদের কর প্রদানে উদ্বুদ্ধকরণের লক্ষ্যে আয়কর মেলা এবং অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের ব্যবস্থা গ্রহণসহ কর ব্যবস্থায় সম্পূর্ণ অটোমেশন কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়
অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য অর্জনের জন্য দীর্ঘমেয়াদী রূপকল্প হিসেবে বাংলাদেশ প্রেক্ষিত পরিকল্পনা রূপরেখা (২০১০-২১) প্রণয়ন করা হয়েছে। ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা (২০১১-১৫) প্রণয়নের কাজ চলছে। দারিদ্র্য বিমোচন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, মানব সম্পদ উন্নয়ন, পশ্চাৎপদ এলাকার অধিকতর উন্নয়নকে অগ্রাধিকার প্রদান করে ৩৮,৫০০ কোটি টাকার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচী (২০১০-১১) গৃহীত হয়েছে। এতে মোট ৯১৬টি প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়
পিলখানায় সংঘটিত বিডিআর বিদ্রোহ ও নৃশংস হত্যাকাণ্ডের প্রেক্ষিতে উক্ত ঘটনার সাথে জড়িত বিডিআর সদস্যদের বিচারের আওতায় আনা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন যারা গণহত্যা, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ, যুদ্ধাপরাধসমূহ সংঘটন করেছে উল্লেখিত অপরাধসমূহ বিচারের জন্য বর্তমান সরকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (সংশোধনী) আইন, ২০০৯ পাশ করেছে। আপিল বিভাগে বিচারাধীন মামলাসমূহের দ্রুত নিষ্পত্তির লক্ষ্যে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপীল বিভাগের বিচারপতির সংখ্যা ০৭ থেকে ১১ এ উন্নীত করা হয়েছে।

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়
ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যের কার্যক্রমের অংশ হিসেবে স্থানীয় সরকার বিভাগের একটি ওয়েব সাইট স্থাপন করা হয়েছে এবং সকল শাখায় ইন্টারনেট সংযোগ প্রদান করা হয়েছে। গ্রামীণ পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন সেবা প্রদান ব্যবস্থাকে যুগোপযোগী করতে গ্রামীণ পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন ডাটাবেজ তৈরির কাজ চলছে। ২০১৫ সালের মধ্যে সমগ্র বাংলাদেশের মোট ১০ লক্ষ হত-দরিদ্র জনগোষ্ঠীর দারিদ্র্য হ্রাসে ডিএফআইডি’র ৮৮৪কোটি টাকা (৬৫ মিলিয়ন পাউন্ড) অনুদান সহায়তাসহ মোট ৮৮৬.৭৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ফেব্রুয়ারি ২০০৮ থেকে ডিসেম্বর২০১৫ মেয়াদে ইকনোমিক এমপাওয়ারমেন্ট অব দি পুওরেস্ট ইন বাংলাদেশ (ইইপি) শীর্ষক একটি প্রকল্পের বাস্তবায়নের কাজ চলছে। জুলাই ২০০৯ থেকে পল্লী এলাকায় উন্নত সেবা ই-পরিষদ শীর্ষক একটি পরীক্ষামূলক প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ শুরু হয়েছে।

কৃষি মন্ত্রণালয়
সকল প্রকার নন-ইউরিয়া সারের দাম কয়েক দফায় কমিয়ে চার ভাগের এক ভাগে নামিয়ে আনা হয়েছে। কৃষি উপকরণ সহায়তা কার্ডের প্রচলন করে কৃষকেরা ১০ (দশ) টাকার ব্যাংক একাউন্ট খুলে সে একাউন্টের মাধ্যমে সরকারের দেয়া ভর্তুকিসহ বিভিন্ন কৃষি সহায়তা গ্রহণ করছেন। সরকারের সহায়তায় পাটের জিনোম সিকোয়েন্স আবিষ্কার দেশের কৃষি খাতে বিশাল অর্জন। কৃষকদের আর্থিক প্রণোদনা প্রদান ২৫% ভর্তুকি মূল্যে কৃষকদের কৃষি যন্ত্রপাতি প্রদান, রিবন রেটিং পদ্ধতির মাধ্যমে পাটের আঁশ ছাড়ানোর জন্য বিনামূল্যে ১৫ হাজার রিবনার প্রদান করা হয়েছে।

খাদ্য ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়
স্বল্প-আয়ের জনগোষ্ঠীর জন্যে ফেয়ার প্রাইস কার্ড চালু করা হয়েছে। কার্ডধারী প্রতিটি পরিবার সরকার নির্ধারিত মূল্যে মাসে ২০ কেজি করে চাল পাচ্ছেন। বর্তমানে সারা দেশে এক লাখ ৩৫ হাজার মে. টন ধারণ ক্ষমতার খাদ্য-গুদামের নির্মাণ কাজ চলছে। আরো প্রায় সাড়ে আট লাখ মে. টন ধারণ ক্ষমতার খাদ্য-গুদাম সাইলো নির্মাণের কাজ হাতে নেয়া হয়েছে। আইলা ক্ষতিগ্রস্ত ৪৮ হাজার পরিবারকে ভিজিএফ হিসেবে ১৩,৪০২ মে. টন চাল এবং গৃহ নির্মাণের জন্য ৯৬ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়
জাতীয় শিক্ষানীতি জাতীয় সংসদে সর্বসম্মতভাবে পাশ হয়েছে। প্রাথমিকের শতভাগসহ এবতেদায়ী, মাধ্যমিক, দাখিল, কারিগরিসহ মাধ্যমিকের সকল ছাত্র-ছাত্রীদেরকে ২০১০ সালের প্রথম দিনেই বই তুলে দিতে সক্ষম হয়েছে। এর ফলে ঝরে পড়ার হার হ্রাস পাওয়ায় এবছর গত বছরের ১৯ কোটি বইয়ের স্থলে ২৩ কোটি ২০ লক্ষ বই ছাপিয়ে পয়লা জানুয়ারিতেই শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছে দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। মাদ্রাসা শিক্ষার আধুনিকীকরণ ও নতুন শিক্ষানীতিতে মাদ্রাসা শিক্ষাকে অধিক গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়
বর্তমান সরকার দু’বছরে প্রায় ৫৩ হাজার ১৪১জন প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগদান করেছে। প্রায় ৯ হাজার মুক্তিযোদ্ধা সন্তানকে প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষকের চাকুরী দেয়া হয়েছে এবং আরও প্রায় ৪ হাজার মুক্তিযোদ্ধা সন্তানকে চাকুরী দেয়ার কার্যক্রম চলমান আছে। ২০১১ সালের মধ্যে সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা চালু বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যকে সামনে রেখে ৫৫টি পিটিআই-এ আইসিটি ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে এবং মাঠ পর্যায়ে এক হাজার ১০০ অফিসে ইন্টারনেট সংযোগ দেয়া হয়েছে। ইউনিয়ন হতে জাতীয় পর্যায় পর্যন্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুদের জন্য “বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০১০” চালু করা হয়েছে ।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়
দরিদ্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর প্রাথমিক স্বাস্থ্য, পরিবার পরিকল্পনা ও অন্যান্য সেবা ও পরামর্শ কেন্দ্র হিসেবে এ পর্যন্ত ৯ হাজার ৭ শত ২২টি কমিউনিটি ক্লিনিক চালু করা হয়েছে। ২৮তম বিসিএস-এর মাধ্যমে ৭৮০ ও অ্যাডহক ভিত্তিতে ৩৫৫১ জন চিকিৎসক নিয়োগ এবং ১৭২২ জন সিনিয়র স্টাফ নার্স ৬ হাজার ৩ শত ৯১জন স্বাস্থ্য সহকারী নিয়োগ দেয়া হয়েছে । মানসম্মত ঔষধ উৎপাদন ও বিপুল সম্ভাবনাময় ঔষধ রপ্তানি সুবিধার উন্নয়ন জোরদার করতে ঔষধ প্রশাসন পরিদপ্তরকে অধিদপ্তরে রূপান্তর করা হয়েছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জঙ্গিবাদ ও চরমপন্থিদের দমন, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজি প্রতিরোধ, যুদ্ধাপরাধী ও মানবতা-বিরোধী অপরাধের বিচার, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার বিচারসহ বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর মামলার বিচার নিশ্চিত করার জন্য নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর নেতৃত্বে জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ ও প্রতিকার কমিটি গঠন করা হয়েছে। গার্মেন্টস শিল্প এলাকায় আইন শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য শিল্পাঞ্চল পুলিশ গঠন করা হয়েছে।

বাংলাদেশ রাইফেলস (বিডিআর)-কে পুনর্গঠন করে ’বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ আইন-২০১০ জাতীয় সংসদে পাশ হয়েছে। নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য বর্তমান সরকার আন্তর্জাতিকমানের ও স্বীকৃত যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করেছে। বাংলাদেশ পাসপোর্টকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার লক্ষ্যে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) ও মেশিন রিডেবল ভিসা (এমআরভি) প্রবর্তন করা হয়েছে। জনগণের মধ্যে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট প্রদান শুরু হয়েছে। ইভ-টিজিং রোধে (মেয়েদের উত্ত্যক্ত) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হতে কতিপয় গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। মেয়েদের উত্ত্যক্তকারী ব্যক্তিকে তাৎক্ষনিকভাবে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে বিচার করার জন্য মোবাইল কোর্ট আইন-২০০৯ সংশোধন করে গেজেট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।

বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়
বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী সিএফএল ব্যবহারে জনগণকে উদ্বুদ্ধকরণের লক্ষ্যে এই প্রথমবারের মতো দেশে বিনামূল্যে ৪৫ লাখ গ্রাহককে ১ কোটি ৫ লক্ষ এনার্জি সাশ্রয়ী সিএফএল বাল্ব বিতরণ করা হয়েছে। এতে প্রায় ৮০-১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সাশ্রয় করা সম্ভব হয়েছে। গ্যাসের যথার্থ ও সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ গ্যাস আইন, ২০১০ জারী করা হয়েছে। গ্যাস সেক্টরের উন্নয়নে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নে আর্থিক সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে সরকার গ্যাস উন্নয়ন তহবিল গঠন করেছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়
সময়োপযোগী ও বাস্তবমুখী আমদানি নীতি ও রপ্তানি নীতি ২০০৯-২০১২ প্রণয়ন করা হয়েছে। অভ্যন্তরীণ দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল ও সহনীয় রাখতে টিসিবি’কে সক্রিয় এবং বাজার নিয়ন্ত্রণমূলক সমতা সৃষ্টি করে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য যথাঃ চিনি, সয়াবিন তেল, পামঅয়েল, মশুর ডাল ও ছোলার আপতকালীন মজুদ গড়ে তোলা হয়েছে এবং টিসিবি’র নিয়োগকৃত ডিলারদের মাধ্যমে নির্ধারিত মূল্যে খোলাবাজারে বিক্রির ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়
রাজউক এবং জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে প্রায় ৪৩ হাজার প্লট উন্নয়ন ও সাড়ে ৪ হাজার ফ্লাট নির্মাণের কাজ ৩২টি অনুমোদিত প্রকল্পের আওতায় চলমান রয়েছে। ঢাকার চারপাশে চারটি স্যাটেলাইট শহরে ১১৫০০ প্লট বরাদ্দ দেওয়ার কার্যক্রম নেয়া হয়েছে।
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়
গার্মেন্টস সেক্টরসহ মোট ১৪টি বেসরকারি শিল্প সেক্টরের শ্রমিকদের জন্য নিম্নতম মজুরী পুনঃনির্ধারণসহ সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত সেক্টরের শ্রমিকদের বেতন নির্ধারণের জন্য জাতীয় মজুরী ও উৎপাদনশীলতা কমিশন-২০১০ গঠন করা হয়েছে। জাতীয় শিশুশ্রম নিরসন নীতি-২০১০ প্রণয়ন করা হয়েছে। শ্রমিকদের অধিকার ও কর্তব্য সচেতনতামূলক ৬৬টি শ্রমিক শিক্ষা কোর্স আয়োজনের মাধ্যমে ১,৫৫৬ জন শ্রমিককে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে।

তথ্য মন্ত্রণালয়
গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও তথ্য প্রবাহের অবাধ চলাচল সুনিশ্চিত করার জন্য তথ্য অধিকার আইন-২০০৯ পাশ করা হয়েছে এবং তথ্য কমিশন গঠন, বেসরকারি মালিকানায় এফএম বেতারকেন্দ্র স্থাপন ও পরিচালনা নীতিমালা ২০১০ প্রণয়ন করা হয়েছে। বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনা নীতিমালা ২০১০ প্রণয়ন করা হয়েছে। শিশু ও নারী উন্নয়নে যোগাযোগ কার্যক্রম (৩য় পর্যায়ে) শীর্ষক প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

বিজ্ঞান এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়
দেশে উন্নত প্রযুক্তি ও জ্ঞানভিত্তিক শিল্প প্রসারের জন্য কালিয়াকৈরে হাইটেক পার্ক এবং কাওরান বাজারের বিসিএসআরএস ভবনে আশিটি ইনকিউবেটর স্থাপন করা হয়েছে। দেশের ক্রমবর্ধমান বিদ্যুৎ চাহিদা মেটানোর লক্ষ্যে রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র বাস্তবায়নের জন্য রাশিয়া ফেডারেশন সরকারের সাথে একটি ফ্রেমওয়ার্ক চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়েছে। দেশে নবীন বিজ্ঞানী ও গবেষক সৃষ্টির জন্য বঙ্গবন্ধু ফেলোশিপ প্রবর্তন করা হয়েছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
রূপকল্প ২০২১-এ মহান মুক্তিযুদ্ধের আলোকে বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তুলে ধরার যে অঙ্গীকার ব্যক্ত হয়েছে তার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে বর্তমান সরকারের পররাষ্ট্রনীতি পরিচালিত হয়ে আসছে। ফলত: বিশ্বপরিমন্ডলে বাংলাদেশ একটি প্রগতিশীল, ধর্মনিরপেক্ষ এবং কার্যকর রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। দারিদ্র্য দূরীকরণ, নারীর ক্ষমতায়ন এবং সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ নির্মূলে বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি এবং উদ্যোগ বিশ্বে ইতিবাচক ভাবমূর্তি তৈরি করেছে। গত দুই বছরে সকল আন্তর্জাতিক সংস্থার নির্বাচনে বাংলাদেশ বিপুল সাফল্য অর্জন করেছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ইউএনডিপি, ইউনিসেফ, ইউএনইপি, ইউনেস্কো, ডব্লিউএইচও, আইটিইউ ইত্যাদি।

যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়
শিক্ষিত আগ্রহী বেকার যুবক/যুবমহিলাদের জাতি গঠনমূলক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্তকরণের মাধ্যমে দুই বছরের জন্য অস্থায়ী কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়েছে। জাতীয় ক্রিকেট দল ওয়েষ্ট ইন্ডিজ, জিম্বাবুয়ে, নিউজিল্যান্ড ও ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজ জয়লাভ করেছে।

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়
৩৫০০টি পাড়া কেন্দ্রের মাধ্যমে ৬৮,০০০ শিশুকে প্রি-স্কুল শিক্ষাদান করা হয়েছে। প্রায় ১,১৮,০০০ পরিবারের স্বাস্থ্য ও পুষ্টিমান উন্নয়ন, ৪টি আবাসিক বিদ্যালয়ের ৭০০ জন ছাত্র-ছাত্রীকে আনুষ্ঠানিক শিক্ষাদান করা হয়েছে। ৯৯৮ জন পাড়া কর্মীর মৌলিক ও ১৫০০ জন পাড়াকর্মীর সঞ্জীবনী প্রশিক্ষণ, ৫০ জন কর্মকর্তার প্রশিক্ষণ, ১১৮০টি পাড়াকেন্দ্রের নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে ।

শিল্প মন্ত্রণালয়
২০২১ সাল নাগাদ বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের শিল্পসমৃদ্ধ দেশে পরিণত করার লক্ষ্য নিয়ে জাতীয় শিল্পনীতি ২০১০ প্রণয়ন করা হয়েছে। সারের মূল্য তিন দফায় কমিয়ে কৃষকদের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে আনা হয়েছে। অতীতের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করে ২০০৯-২০১০ উৎপাদন মৌসুমে ১৭ লাখ ৭ হাজার মেট্রিক টন লবণ উৎপাদন হয়েছে। জাতীয় লবণনীতি প্রণয়নের কাজ চলছে।

সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়
দেশের সাংস্কৃতিক কার্যক্রম জোরদার করার জন্য দেশজ সংস্কৃতির বিকাশ শীর্ষক কার্যক্রম গ্রহণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। অর্থ বিভাগ কর্তৃক ২০১০-১১ অর্থ বছরের বাজেটে সংস্কৃতি খাতে ১০০ কোটি টাকা বিশেষ বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে। স্বাধীনতার স্মৃতি বিজড়িত স্থান নিয়ে সোনার বাংলা সাংস্কৃতিক বলয় গড়ার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।

ভূমি মন্ত্রণালয়
ভারত বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমানার বাংলাদেশ সীমানার সঙ্গে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, মেঘালয় ও ত্রিপুরা সেক্টরের সর্বমোট ১১২৯টি স্ট্রিপ ম্যাপের স্ক্যানিং ও ডিজিটাইজিং এর কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ২০১০-১১ অর্থ বছরে উপজেলা প্রতি ৪৬টি ভূমিহীন পরিবারের মাঝে ৫ হাজার একর কৃষি খাস জমি বন্দোবস্ত প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ জাতীয় সংসদে পাশ হয়েছে।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়
প্রধানমন্ত্রীর ও ৬৪টি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের মোট ৭২টি পয়েন্ট ভিডিও কনফারেনসিং নেটওয়ার্ক চালুর লক্ষ্যে ইতোমধ্যে অপটিক্যাল ফাইবার স্থাপন করা হয়েছে। প্রবাসীগণ স্বল্প ব্যয়ে যাতে কথা বলতে পারেন সে লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক ইনকামিং কল রেট ৪ মার্কিন সেন্ট থেকে কমিয়ে ৩ মার্কিন সেন্ট নির্ধারণ করা হয়েছে। ৩টি পার্বত্য জেলায় টেলিটক মোবাইল চালু করা হয়েছে। টেলিযোগাযোগ ও টেরিস্টেরিয়াল নীতিমালা ২০১০ প্রণীত হয়েছে।

নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়
জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ এবং সরকারের অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত প্রকল্প হিসেবে কক্সবাজার জেলার সোনাদিয়া দ্বীপে গভীর সমুদ্র বন্দর স্থাপন কার্যক্রম দ্রুততার সাথে এগিয়ে চলছে। বেনাপোল স্থলবন্দরের অবকাঠামো উন্নয়ন করার জন্য প্রায় ৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে বেনাপোল স্থল বন্দরের আধুনিকীকরণ কাজ বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। ১টি মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয় এবং ৬টি নতুন মেরিন একাডেমী স্থাপনের প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।

পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়
জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় সরকার জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক কৌশলগত পরিকল্পনা প্রণয়ন ও জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড গঠন করেছে। দেশের বৃহত্তর ২১টি জেলায় পরিবেশ অধিদপ্তরের অফিস ও পরিবেশ আদালত স্থাপনের জন্য পরিবেশ আদালত আইন ২০০০ সংশোধন করা হয়েছে। জাতীয় পরিবেশ পদক চালু করা হয়েছে। চিত্রল হরিণ লালন-পালন সংক্রান্ত নীতিমালা ২০০৯ প্রণয়ন করা হয়েছে। জাহাজ ভাঙ্গা বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য বিধিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে।

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়
অভিবাসী কর্মীদের বায়োমেট্রিক তথ্য সম্বলিত স্মার্ট-কার্ড চালু করা হয়েছে। অভিবাসীদের সহজ শর্তে ঋণ প্রদান, রেমিট্যান্স গ্রহণ ও তাদের প্রেরিত অর্থ দেশের উন্নয়নে বিনিয়োগ এবং একই সাথে শ্রমিকদের স্বার্থ সংরক্ষণ ও কল্যাণে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। ৯ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে আরও ৩০টি জেলায় ৩০টি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (টিটিসি) ও ৫টি মেরিন টেকনোলজি ইন্সটিটিউট স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

মৎস্য ও পানিসম্পদ অধিদপ্তর
রূপকল্প ২০২১ এর আওতায় গৃহীত উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রাসমূহ বিবেচনায় রেখে ইতোমধ্যেই মৎস্য উন্নয়ন প্রেক্ষিত পরিকল্পনা (২০০৯-২০২১) প্রণয়ন করা হয়েছে। পানিসম্পদ অধিদপ্তর ২৭টি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় মাংস, দুধ, ডিমের উৎপাদন কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় বৃদ্ধির কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।

ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়
হজ্জ ব্যবস্থাপনাকে কার্যকর করার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্যাদি আদান-প্রদান ডিজিটালাইজ করা হয়েছে। হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের স্থায়ী আমানত ১৬ কোটি টাকায় উন্নীত করা হয়েছে। বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের স্থায়ী আমানত বৃদ্ধি করা হয়েছে। খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের জন্য এবারই প্রথম খ্রিস্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট ট্রাস্টি বোর্ড গঠন করা হয়েছে।

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়
পর্যটন নীতিমালা ২০১০ প্রণয়ন, পর্যটন সংরক্ষিত এলাকা, বিশেষ পর্যটন আইন ২০১০ প্রণয়ন, টুরিস্ট পুলিশ গঠন করা হয়েছে। এডিপির অর্থায়নে ১০৯৭.২৬ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ‘কুয়াকাটা মোটেলে ও ইয়ুথ ইন’ নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক মানের সুযোগ সুবিধা সম্বলিত বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর নির্মাণের কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে।

পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়
বৈশ্বিক উষ্ণতাজনিত প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা এবং সমুদ্র হতে ভূমি উদ্ধার প্রকল্পসহ গঙ্গায় বাঁধ নির্মাণের মতো বৃহৎ প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। শুকনো মৌসুমে তিস্তা নদীর পানি স্বল্পতার প্রেক্ষিতে ভারত ও বাংলাদেশের জনগণের চাহিদার কথা বিবেচনা করে যৌথ নদী কমিশন পর্যায়ে আলোচনা চলছে।

বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়
দেশে পাট ও পাটজাত পণ্যের ব্যবহার বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে বর্তমান সরকার পণ্যের মোড়কী করনে পাটজাত পণ্যের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন-২০১০ প্রণয়ন করেছে। দেশের দক্ষিণাঞ্চলে শিল্প প্রসারের প্রয়াসে খুলনা টেক্সটাইল পল্লী স্থাপনের কাজ দ্রুত অগ্রসর হচ্ছে।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়
১৩৭ কোটি টাকা ব্যয়ে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্বাধীনতা স্তম্ভের গ্লাস টাওয়ার নির্মাণ প্রকল্পের টেন্ডার ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রীসভায় অনুমোদিত হয়েছে এবং ফেব্রুয়ারি ২০১০ থেকে কার্যক্রম শুরু হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যানার্থে ১১৮ কোটি টাকা ব্যয়ে দেশের সকল জেলায় এবং ৮০৬.৫৫ কোটি টাকা ব্যয়ে সকল উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স নির্মাণের প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।

সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়
বয়স্ক ভাতা ২০০৮-০৯ অর্থ বছর থেকে ২০১০-১১ অর্থ বছরে ৪.৭৫ লক্ষ ভাতাভোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং ২৯১ কোটি টাকা বরাদ্দ বৃদ্ধি করা হয়েছে। অস্বচ্ছল প্রতিবন্ধীদের জন্য ৪২.৯৬ কোটি টাকা বরাদ্দ বৃদ্ধি করা হয়েছে। বিধবা ও স্বামী পরিত্যাক্তা মহিলাদের জন্য ভাতা বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

যোগাযোগ মন্ত্রণালয়
পদ্মা সেতু নির্মাণের অর্থ সংস্থান নিশ্চিত হয়েছে। নভেম্বরে শুরু করে নয় মাসে কার্যকরের পদক্ষেপ গৃহীত হয়েছে। মহানগরীর যানজট নিরসনে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণে বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান চুড়ান্ত হয়েছে। বাংলাদেশ রেলওয়েকে আলাদা বিভাগে রূপান্তরের সিদ্ধান্ত হয়েছে ও অনলাইন ব্যাংকিং-এর মাধ্যমে যানবাহন কর দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কাশিয়ানি হতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি স্থল পর্যন্ত এবং ঈশ্বরদী হতে পাবনা হয়ে ঢালার চর পর্যন্ত নতুন ব্রড গেজ রেললাইন নির্মাণের কাজ হাতে নেয়া হয়েছে।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়
খসড়া জাতীয় প্রতিরক্ষা নীতি অনুমোদনের কার্যক্রম চলমান আছে। বিমান বাহিনীতে এ.আর-১৫ রাডার এর কার্যক্রম শেষ হয়েছে। এফ-৭ জঙ্গী বিমানের সার্বিক সুবিধা স্থাপনের জন্য চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। দেশের প্রতিটি ক্যাডেট কলেজে কম্পিউটার ল্যাব স্থাপন ও এমআইএসটিতে অনলাইন ভর্তি কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।

মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়
পারিবারিক সহিংসতা প্রতিরোধ ও সুরক্ষা আইন ২০১০ মহান জাতীয় সংসদে পাস করা হয়েছে। নারী নির্যাতন প্রতিরোধে পূর্বের ৬টি বিভাগীয় শহরের সাথে রংপুর বিভাগে ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস (ওসিসি) সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। ইভটিজিং প্রতিরোধে গণসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে র‌্যালী, মানব বন্ধন ও সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সরকার বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করতে আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। গত এক বছরে পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ৩৫% যা একটি রেকর্ড। আশা করা যায় সরকারী সহযোগিতায় বাংলাদেশ বিশ্বে অনন্য স্থান অর্জন করবে। সম্প্রতি ব্রাজিলে মিশন খোলার পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের সাথে কূটনৈতিক সহযোগিতা জোরদারের ফলশ্রুতিতে জাতিসংঘ শিশুদের অপুষ্টির বিরুদ্ধে পদক্ষেপে নেতৃত্ব দিতে শেখ হাসিনাকে মনোনীত করেছে। নির্বাচনী ইশতিহারে যে সকল প্রত্যয় ও প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করা হয়েছিল তাকে সামনে রেখে সরকার জাতি গঠনের কাজে সাফল্যের সঙ্গে এগিয়ে চলেছে আমরা দৃঢ়ভাবে আশাবাদী যে বাংলাদেশ পরিণত হবে একটি মধ্যম আয়ের দেশে।
<photo id="1" />

শনিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১২

Deshratna Sheikh Hasina, HPM

http://sheikhhasina.webs.com

Honorable Prime Minister
Her Excellency Sheikh Hasina

President Ziaur Rahman did not allow me to enter our Dhanmondi-32 Residence:

Sheikh Hasina


Tears rolled down her cheeks and emotion gripped the audience as Prime Minister Sheikh Hasina narrated the massacre at Dhanmondi-32 and unkind behaviour of a government after the assassination of Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman on August 15, 1975.
"When I came back in 1981 from exile, the then government of president Ziaur Rahman did not allow me to enter our Dhanmondi-32 residence where my father along with most of my family members were brutally killed," she said.

Speaking at a prize giving ceremony at Osmani Memorial Auditorium yesterday morning, she said even General Zia did not allow her to organise a milad mahfil seeking eternal peace of the martyrs of August 15 inside the residence.

"It was Zia who forced us to hold milad on the road for my parents and others who were killed in the August 15 massacre," said Hasina.

Sheikh Hasina, the eldest daughter of Bangabandhu, who along with her younger sister survived the massacre, described as crime against humanity, said president Zia imposed restriction on opening of the residence from where Bangabandhu led all anti-autocratic movements.
Later, the government led by Justice Abdus Satter opened the historic house and handed over it to Hasina. "When I entered the house, I saw dried blood everywhere and clothes and other valuables were seen scattered on the floor".

The killers not only killed the country's founding father along with most of his family members, they also looted all valuables from the house, Hasina said.

There was pin-drop silence in the Osmani Memorial auditorium when the premier was narrating the tale of the blackest chapter of the world's history. People specially the children who joined the function were seen to wipe their eyes when she was describing the barbaric incident.
Hasina said after receiving the house, she and her younger sister decided to make it a museum for the people of the country. "I thought that the people of the country are the owner of the house as Bangabandhu launched all of his pro-people movements from the house," she added.
The premier said she inaugurated the Bangabandhu Memorial Museum on August 14, 1994 and after that the museum remains opened for public.

Later, Father of the Nation Bangabandhu Memorial Trust was formed on April 11, 1994 with an aim to provide various services for the common people.
According to sources, 1,000-1,200 students are being provided stipend from the trust each month to meet their education expenses. The trust arranged free medical services across the country from Jan 10 to March 17 this year when over 8 lakh patients were given medical services.
The trust will set up a medical college and a nursing institute in Gazipur to provide medical services for the common people.

The Convenor of Bangabandhu Memorial Museum presided over the function while Curator of the museum Syed Siddiqur Rahman, DG of Bangla Academy Prof Shamsuzzaman Khan and Vice-Chancellor of National University Kazi Shahidullah, among others, addressed it.

Deshratna Sheikh Hasina, HPM

Blog -